মূল্যহীন হৃদয়ের আকুতি "

"মূল্যহীন হৃদয়ের আকুতি " "     মরুভুমিতে সচরাচর এই সময় আকাশে মেঘ দেখা যায়না। অথচ কদিন ধরে আমিরাতের আকাশটা মেঘাচ্ছন্ন। কখনো কখনো এক দু ফোটা বৃষ্টিও পড়ে সাথে হালকা বাতাস। এক তো শীতের শেষ সময় তার উপর হালকা শিরশিরে  বাতাস অন্য রকম অনুভুতির উদ্রেক করে অন্তরে। অনেক দিন ধরে তেমন একটা লেখা হয়না কিছুই। কদিন ধরে কেমন যেন মরিচিকা পড়া স্মৃতি গুলা নাড়া দিচ্ছে। আমি কোন কবি বা সাহিত্যিক বা তেমন লেখক নই।সামান্য একজন খেটে খাওয়া অতি সাধারন প্রানী। কিছু লেখার যে যোগ্যতা দক্ষতা থাকা দরকার তার লেশমাত্র নেই আমার। তারপরও স্মৃতিকে উপাধান করে মনের কোনে জমে থাকা আনন্দ,বেদনা,প্রেম ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা করছি মাত্র। একটা সময় প্রেম ভালবাসা নিয়ে অনেক ভাবতাম,অনেক সময় ডায়েরীতে অনেক কিছুই লিখতাম। এখন সে ভাবুক হৃদয় ও নেই, সে রকম ডায়েরী বা সময়ও নেই। তারপরও আজকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ কালো মেঘের আড়ালে লুকোচোরি খেলায় মত্ত পূর্নিমার চাঁদকে দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। আজকের লেখাটা ভালবাসার অপ্রাপ্তির আক্ষেপ,হৃদয় ভাঙ্গার যন্ত্রনাময়। বলা যেতে পারে প্রিয়তমার উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি। অভাগা প্রেমিক হয়ত জানেই না যে,তার আকুতি ভালবাসা হারানোর ব্যাকুলতা প্রিয়তমার দৃষ্টিগোচরই হবেনা।শুরুটা এই ভাবে, হঠাৎ দেখায় দুজনের হৃদয়ে প্রেমের বীজ অন্কুরিত হয়। যা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দিনকে দিন বাড়তে থাকে,হতে থাকে গভীর থেকে গভীরতর। ঘটনা যা বলছি তা সত্যি ঘটনা। কোন মনগড়া রসেভরা গল্প নয়। কথা না বাড়িয়ে ব্যাকুল প্রেমিকের নিবেদন তার প্রেয়সীর কাছে। "তোমাকে বলছি আরজু,(তুমি তো জান ভালবেসে আমি তোমাকে আরজু বলেই ডাকি।) আমার লেখা গভীর রাত ছাড়া তুমি পড়বেনা, এ আমার তোমার প্রতি অনুরোধ।কারন আমার লেখা কথা গুলো তুমি গভীর রাত ছাড়া অনুভব করতে পারবেনা। কারন,গভীর রাতে মানুষ কৃত্রিমতা ছেড়ে ধরা দেয় নিজের মনের কাছে। এখন রাত.......।কেমন আছো তুমি আরজু? অবাক হচ্ছো? আসলে অবাক হবারই কথা। যে মানুষটি আগে চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারত 'তুমি কেমন আছো, সে আজ নিজেই জানতে চাইছে!!! তুমি কেমন আছো! তোমার সাথে দেখা হয়না, কথা হয়না আজ অনেকদিন হয়ে গেল। তাই সহজেই বলতে পার আমি 'ভাল নেই '।ভেবেছিলাম আজ তোমার সাথে সব রাগ অভিমান ভুলে যাব। ভাল থাকব।কিন্তু না পেরেছি তোমার অভিমান ভাঙ্গাতে,না পেরেছি তোমার রাগ ভাঙ্গাতে। মনের উপর শাসন চলেনা। বিপরীত ফল হয় তাতে। তাই হয়ত তোমার রাগ আর অভিমান ভেঙ্গে যতই কাছে যেতে চেয়েছি ততই তুমি আমাকে দুরে সরিয়ে দিয়েছো। তুমি আমাকে যে নিঃস্বার্থ ভালবাসা দিয়েছো তা সত্যিই ভুলবার নয়।আসলে প্রিয় মানুষদের আগলে রাখার ক্ষমতাসবার থাকেনা। যেমন তুমি আমাকে বলেছিলে। তবে তোমাকে আগলে রাখতে না পারলেও আগলে রেখেছি আমাদের ম্মৃতি গুলো।আচ্ছা,তুমি কি এখন আগের মত চাঁদ দেখো? আজ কিন্তু পূর্নিমার চাঁদ আকাশ থেকে তার রুপালি কিরন বিলিয়ে যাচ্ছে সারা প্রকৃতির উপর। যদিও তা আজ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছেনা কালো মেঘের কারনে। তারপরও আমি চাঁদ দেখছি,সময় পেলে প্রতিরাতেই দেখি। আর স্বভাবসুলভ ভাবে তোমাকেই ভাবি। জানিনা আমাকে নিয়ে তুমিও তেমন ভাবছো কি না! এই গভীর রাতে চাঁদই আমার একমাত্র বন্ধু।আমি ঐ চাঁদকে যত কটু কথা বলিনা কেন সে আমার উপর একদমই অভিমান করেনা। শুধু এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে আমার দিকে, আর দেখে আমার সরলতায় ভরা পাগলামি। তবে যখন তার হৃদয় মেঘলা হয়ে থাকে, তখন সে আমার উপর কিছুটা অভিমান করে। পরক্ষনেই মেঘের আড়াল থেকে ছুটে আসে আমায় দেখবার জন্য। আমি তার সাথে কথা বলতে বলতে একসময় ঘুমিয়ে পড়ি। তখনো সে জানালা দিয়ে আমার দিকে অপলক থাকিয়ে হাসতে থাকে। তাকে বিদায় জানাবার আগে আমি ঘুমিয়ে পড়লেও তার চোখে থাকেনা কোন অভিমান। তোমার সাথে যখন প্রথম সম্পর্ক হয় তখন তোমার সাথে কথা বলতাম আর চাঁদকে দেখতাম। তাই চাঁদই ছিল আমাদের ভালবাসার নিরব সাক্ষী। তোমায় ভালবেসে চাঁদকে যখন দেখতাম মনে হতো,তুমি চাঁদের চেয়ে অনেক সুন্দর।। সত্যিই তুমি কিন্তু চাঁদের চেয়ে অনেক সুন্দর। এখন চাঁদকে আর আগের মত সুন্দর লাগেনা। হয়ত আমাদের ভালবাসার এমন করুন পরিনতি সইতে না পেরে চাঁদ নিজেই নিজেকে করেছে ক্ষত-বিক্ষত।আমাকে দেখলেই এখন সে মেঘের আড়ালে লুকায়। আরজু,আমি এখন বড় অগোছালো। জানো আরজু,মনে হয় আমার চোখের জল শুকিয়ে গেছে।ঠিক যেমন করে গ্রীষ্মকালে মাট-ঘাট শুকিয়ে যায়। ছেলেরা সাধারনত তাদের কান্না কাউকে দেখতে বা অনুভব করতে দেয়না। তারপরও আমি অনেক কেঁদেছি। কিন্তু তুমি আমার কান্না কখনো অনুভব করতে পারনি। মাঝে-মধ্যে আমি কখন যে কি করে বসি তা নিজেও বুঝতে পারিনা। নিজের অজান্তেই অন্যদের মনে কষ্ট দিয়ে ফেলি। মাঝে মাঝে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা হয়,হে নিষ্টুর পৃথিবী আমি আর পারছিনা। কেন জানিনা প্রিয় মানুষকে কষ্ট দিতে আমার ভাল লাগে। সত্যি বলছি, বিশ্বাস কর আরজু,।এ গুলো আমার ইচ্ছাকৃত না।শুধু তোমার সাথে ফান, আসলে আমার জীবনটা এমনই। এই দেখো,হঠাৎ তোমার জীবনে আসলাম,ভালবাসলাম,ভালবাসি বললাম। আবার হঠাৎ ই সব থমকে গেল! কি এমন বলেছিলাম যে,এ ভাবে আমাকে ছেড়ে দুরে চলে গেলে? শুধু মুখের কথাটাই দেখলে,আমার মনের ভাষাটা একবারও বুঝতে চেষ্টা করলেনা।তুমি না আমাকে অনেক ভালবাস? আরজু এখনো কি আগের মত আমাকে ভালবাস? জানতে খুব ইচ্ছে করছে...........

No comments:

Post a Comment

সর্বশেষ পোস্ট

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইসচার্চে ২টি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা, হতাহত অনেক।

নিউজিল্যান্ডে ২টি  মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা, হতাহত অনেক। কোন কোন পত্রিকায় ২৭ জন নিহত হয়েছে বলে তথ্য এসেছে।নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দু...